
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রে এমন ঘটনা কেবল বিরল নয়, বিরলতম। ১৫ বছর বয়সি এক নাবালিকার দেহে যোনিদ্বার নেই, তবুও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলেন তিনি!
১৫ বছর বয়সি ওই নাবালিকা আফ্রিকার লেসোথোর বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হন পরীক্ষা করার জন্য। আর সেই পরীক্ষার ফলাফল দেখেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের। দেখা যায়, নাবালিকা নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
বিষয়টি নিয়ে আজকাল ডট ইন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় চিকিৎসক বিক্রম মণ্ডলের সঙ্গে। চিকিৎসক জানান, যোনিদ্বার তৈরি না হওয়া সাধারণত একটি জন্মগত সমস্যা থেকে হয়। বিষয়টিকে চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় বলা হয় ‘ডিস্টাল ভ্যাজাইনাল অ্যাট্রেসিয়া’।
বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ অবসটেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনেকোলজি’-তে গোটা ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ওই নাবালিকা যে অবস্থার শিকার তাতে আইভিএফ বা কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ছাড়া কোনও মতেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁর গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি দেখে চমকে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরে জানা যায়, নয় মাস আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে মুখ-মিলনে অংশ নিয়েছিলেন নাবালিকা। তখনই কোনও ভাবে একটি ধারালো বস্তুতে তলপেট কেটে যায় তাঁর। চিকিৎসকদের ধারণা, কোনও ভাবে ওই মৌখিক মিলনের সময় ওই ব্যক্তির বীর্য নাবালিকার ক্ষততে গিয়ে পড়ে। কোনও ভাবে সেই ক্ষতের মাধ্যমে শুক্রাণু তাঁর জননাঙ্গে পৌঁছে যায়। আর তার থেকেই এই গর্ভাবস্থা।
এই ব্যাখ্যায় আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসে, পেটের ভিতর বিভিন্ন ধরনের পাচক রস তৈরি হয়। তাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড। সেই অ্যাসিডে শুক্রাণু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা। চিকিৎসকদের ব্যাখ্যা, মেয়েটি তীব্র অপুষ্টির শিকার। ফলে তাঁর পাচক রসের পরিমাণও খুব কম, সেকারণেই হয়তো বেঁচে গিয়েছে শুক্রাণু। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা বিরল থেকে বিরলতর বলেই মনে করছেন তাঁরা।
অফিসে বেরনোর আগে কোনও মতে নাকে-মুখে গুঁজে খাবার খাচ্ছেন? জানেন অতি দ্রুত খাবার খেলে পাকস্থলীতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে?
রোদ বৃষ্টির দোলাচলে বাড়তি চাপ হৃদযন্ত্রে? অসময়ে হৃদরোগ থেকে বাঁচতে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হবেন?
মাইগ্রেন গায়েব হবে ম্যাজিকের মতো! মাথা যন্ত্রণা কমাতে চাইলে জেনে নিন এই পাঁচটি ঘরোয়া টোটকা